চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় এই মামলা করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন: চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয় এবং দুর্লভ দাস।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন আদালত প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আলিফের বড় ভাই খানে আলম আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে নেওয়ার পথে তার সমর্থকরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে চন্দনসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে ছিল। পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তের ভিত্তিতে চন্দনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।