ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর: ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম মেয়াদে আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আজ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় তার ভূমিকার বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। একই মামলায় হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগের ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য নিজ হাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনকারী কামরুল ইসলাম আজ নিজেই অভিযুক্ত হিসেবে হাজির হয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রধান প্রসিকিউটর এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক সরকারের ৪৫ জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্যকে। ইতিমধ্যে তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত ৬ নভেম্বর পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন আমির হোসেন আমু। এর পর ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন এবং বি এম সুলতান মাহমুদ তাদের হাজির করার জন্য পৃথক দুটি আবেদন করেন। শুনানির প্রক্রিয়া সকাল থেকে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে।