ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার করা এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এ প্রসঙ্গে এক ই-মেইল বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, “আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর সহিংসতা এবং তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোনো ঘটনার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি, সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকেও স্বাগত জানাই।”
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই ধর্ম, বিশ্বাস এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের অধিকারের পক্ষে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ অংশীদারদের কাছে এই সমর্থনের বার্তা পৌঁছে দিই।”
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবির প্রেক্ষিতে এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকদের যে অধিকারগুলো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এসব ইস্যু সমাধান করা উচিত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই।”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, “আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি তাদের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই মন্তব্যগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক মনোযোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপগুলোর গুরুত্বও তুলে ধরেছে।