ঢাকার ফুটপাতের দখলদারিত্বের কারণে পথচারীদের চলাচল এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ২-৩ স্তরের দোকানপাটে ভরে যাওয়া ফুটপাত শুধু পথচারীদের জন্য অনুপযুক্তই নয়, বরং সড়ক পর্যন্ত দোকানের বহর গড়ানোর ফলে ব্যস্ত নগরীর রাজপথ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।
মিরপুর ১০ নম্বরের ফুটপাতের চিত্র আরও ভয়াবহ। সড়কের পাশে থাকা ৩০ ফুট চওড়া ফুটপাতের পুরোটাই দোকানদারদের দখলে। একাধিক স্তরে বসা এসব দোকানপাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে বোঝার উপায় নেই, এটি আদতে পথচারীদের হাঁটার জায়গা। বাধ্য হয়ে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নগরবাসী।
ব্যবসায়ীদের মতে, ফুটপাতে দোকান বসানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হলে তারা আর এভাবে নিয়ম ভেঙে ফুটপাত দখল করবেন না। তবে এই সমস্যার সমাধানে এখনো দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা দখলদারিত্ব উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করছি। আশা করি, অবৈধ দখলদাররাও আমাদের সহায়তা করবেন।”
সম্প্রতি হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নাগরিকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। নগরবাসী চান, দ্রুত ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীদের চলাচলের জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
ঢাকার ফুটপাতের দখলদারিত্ব শুধু পথচারীদের দুর্ভোগই বাড়াচ্ছে না, বরং নগরীর যানজট ও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠছে। সিটি করপোরেশনের কার্যকর পদক্ষেপই পারে নগরবাসীকে এই সমস্যার সমাধান দিতে।