গাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থীদের পিকনিকে দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারান তিনজন। তাদের মধ্যে একজন, মুবতাছিন রহমান মাহিন, রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা। মাহিন ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং আইইউটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
মাহিনের বাবা ইমতিয়াজুর রহমান এবি ব্যাংকের সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় মাহিন আইইউটির ক্যারিয়ার অ্যান্ড বিজনেস সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। তার বন্ধু তাসিম জানান, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তিন মাস তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। মাহিন সবসময় সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করতেন।
তাসিম আরও বলেন, “তিন সপ্তাহ আগে হঠাৎ মাহিন বাড়িতে এসেছিল। যাওয়ার সময় বলেছিল খুব দ্রুত ফিরে আসবে। কিন্তু সেই বন্ধুটি যে চিরদিনের জন্য চলে যাবে, তা ভাবতেও পারছি না।”
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মাহিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের চোখে অশ্রু। মাহিনের চাচা হাসান রহমান বলেন, “এভাবে মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। এটা স্পষ্ট অবহেলার ফল। ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে এমন দুর্ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়। এতে মাহিনসহ তিন শিক্ষার্থী মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাহিনের মরদেহ তার নিজ বাড়িতে আনা হয়নি। তবে রাতেই গ্রামের বাড়িতে আনার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।