জরুরি কাজের জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত
নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় রোববার (২৪ নভেম্বর) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে নারায়ণগঞ্জের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। এই এলাকাগুলো হল:
- সিদ্ধিরগঞ্জ
- গোদনাইল
- লাকিবাজার
- বৌবাজারজালকুড়ি
- রঘুনাথপুর
- মাহমুদপুর
- তাইজউদ্দি মার্কেট
- সোনামিয়া মার্কেট (আদমজী)
- দেলপাড়া
- নারায়ণগঞ্জ শহর
- প্রাইম টেক্সটাইল
- দক্ষিণ সস্তাপুর
- নিশ্চিন্তপুর ঋষিপাড়া
- পাগলা শাহি মহল্লা
- নয়ামাটি
- পিলকুনি মোড়
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যেসব এলাকায় সরাসরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে না, সেসব এলাকার বাসিন্দারাও গ্যাসের স্বল্পচাপ অনুভব করতে পারেন। বিশেষ করে আশপাশের অঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য এই সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরনো পাইপলাইন প্রতিস্থাপন এবং গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এই সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। গ্রাহকদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু হওয়ার পর গ্রাহকরা আগের মতোই স্বাভাবিক সেবা পাবেন।
যেহেতু দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, তাই এই এলাকার বাসিন্দাদের আগেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। রান্নার কাজ আগেই শেষ করে রাখুন এবং পানির গরম করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা ব্যবহার করুন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলোকেও বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমন দীর্ঘ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার ফলে অনেকের দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। বাসা-বাড়ি ছাড়াও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প-কারখানাগুলোও এই সমস্যার সম্মুখীন হবে। বিশেষ করে যারা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল রান্নাবান্নার কাজ করেন, তাদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় পাইপলাইন সংস্কার বা প্রতিস্থাপনের জন্য সাময়িকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। সাধারণত এই ধরনের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হয়। তবে, কখনো কখনো সময়সীমা অতিক্রম করে কাজ সম্পন্ন হতে পারে।
অনেক গ্রাহক এমন অবস্থায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দিকে ঝুঁকছেন। এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বর্তমানে একটি সহজলভ্য ও কার্যকর সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এই ধরনের কাজের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। তবে গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর পরিকল্পনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা। গ্রাহকরা আশা করছেন যে এই সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে এবং গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু হবে।
যারা এই এলাকাগুলোতে বসবাস করছেন, তাদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এটি একটি সাময়িক সমস্যা হলেও, দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রমে এর প্রভাব যাতে কমানো যায়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রতিবেদনটি থেকে আপনারা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণ, প্রভাব, এবং করণীয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। ভবিষ্যতে আরও সঠিক এবং সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এই ধরনের সমস্যার সমাধান সম্ভব।