বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও তিনটি মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, আন্দোলনের চাপের মুখে গত ছয় দিনে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
এদিকে, দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০১৯ সাল থেকেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বুটেক্স এবং নোবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ৮ ও ৯ আগস্টে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট এবং রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে। একইভাবে, ১০ ও ১১ আগস্ট রুয়েট, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুয়েটে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনটি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ১০ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানান, তারা এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না, বরং সমন্বয়কারীরা পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন।