সরকার সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তি আনতে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাকসেলের মাধ্যমে এসব পণ্য সরবরাহ করবে। ২০ নভেম্বর (বুধবার) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতিজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৩ কেজি আলু কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি আলুর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৪০ টাকা। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আলুর মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই উদ্যোগ সেই সমস্যার কিছুটা সমাধান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলুর পাশাপাশি ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও চাল বিক্রি করা হবে ভর্তুকি মূল্যে। টিসিবি নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী:
ভোজ্যতেল: প্রতি লিটার ১০০ টাকা (সর্বোচ্চ ২ লিটার)।
মসুর ডাল: প্রতি কেজি ৬০ টাকা (সর্বোচ্চ ২ কেজি)।
চাল: প্রতি কেজি ৩০ টাকা (সর্বোচ্চ ৫ কেজি)।
ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে এই পণ্য সরবরাহ করা হবে। রাজধানীতে কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে কারওয়ান বাজারে, সকাল সাড়ে ৯টায়। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের জন্য টিসিবি এরই মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভোজ্যতেল ও ডাল সরবরাহ এই কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। নতুন করে আলু এই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে আরও একধাপ সুবিধা পাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টিসিবির এই উদ্যোগ বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সরকারি এই উদ্যোগ ভোক্তাদের আর্থিক চাপ কমানোর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিযোগিতাও বাড়াবে।
টিসিবি সাধারণ মানুষের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে, তাই এর সুফল যাতে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছায়, সেই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য কালোবাজারিদের হাতে না পড়ার জন্য প্রশাসনিক নজরদারিও বাড়ানো প্রয়োজন।
ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে সরকার নিয়মিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে টিসিবির এই উদ্যোগ একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।