শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ
পরিবেশ রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে কাজ শুরু করেছে সরকার। শব্দ ও বায়ুদূষণসহ প্রকৃতিকে সবুজ রাখার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে আয়োজিত ডিআরএমসি ৩য় জাতীয় প্রকৃতি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শব্দ দূষণ রোধে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে। ভোগবাদী মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু ব্যবহার করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের মধ্যে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করতে পারলে ভবিষ্যতে দূষণমুক্ত সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
পরিবেশ উপদেষ্টা পলিথিনের বিকল্প ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর পরিবর্তে পাট এবং কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।”
এ সময় তিনি স্থানীয় সরকার, বিভিন্ন সংস্থা, এবং পরিবেশকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রকৃতি উৎসবে অংশগ্রহণকারী এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এই উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা।
এই ধরনের উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে সাহায্য করবে। সরকারের সঙ্গে তরুণদের একত্রিত করে দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথ আরও সুগম হবে। শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পলিথিনের বিকল্প ব্যবহার এই লক্ষ্য অর্জনের প্রথম ধাপ।
পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সম্পৃক্ত করা শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বুনিয়াদ স্থাপন করবে। তরুণ প্রজন্মের এই উদ্যোগের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।