চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী টানেল এখন দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “টানেলের পাশ দিয়ে আসার সময় দেখলাম, সেখানে কোনো গাড়ি নেই। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেখানে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প হয়েছে এবং একটি টানেল নির্মিত হয়েছে, যা অপরিকল্পিত উন্নয়নের উদাহরণ। এখন দেশ এই টানেলের লোকসান বহন করছে।”
কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে
সভায় ফাওজুল কবির খান ঘোষণা করেন, “আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রতীক্ষিত কালুরঘাট নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ। সরকারকে জ্বালানি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যার বার্ষিক রাজস্ব আয়ের কথা ছিল ১৪০০ কোটি টাকা। অথচ ছয় মাসে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা রাজস্ব এসেছে। এ ধরনের প্রকল্প উন্নয়নের নামে অপচয়ের উদাহরণ।”
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সরকার কোনো পেশিশক্তির কাছে দায়বদ্ধ নয়। এ সরকার শুধুমাত্র ছাত্র-জনতার আহ্বানে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং জনগণের স্বার্থে দেশের সম্পদ ব্যবহারে সচেষ্ট রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, ডিআইজি মো. আহসান হাবিব পলাশ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান প্রমুখ।
এ ধরনের মতবিনিময় সভা স্থানীয় উন্নয়ন এবং সমস্যাগুলোর সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।