শিশু অপহরণ নাকি অন্য কিছু?
রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় এক অভূতপূর্ব ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে একটি বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা একটি শিশুকে নিয়ে গেছে। লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন জানিয়েছেন, ঘটনাটি অপহরণ কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটি বেশ জটিল একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কাজ করেন। ফারজানা আক্তার আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক মহিলাকে সাবলেট হিসেবে বাসায় জায়গা দেন ফারজানা। মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল মাত্র এক সপ্তাহ আগে। বাসায় ওঠার পরদিনই (১৫ নভেম্বর) ওই মহিলা আরও দুইজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং শিশুকে নিয়ে চলে যান।
ফারজানা আক্তার অভিযোগ করেছেন,
- ওই মহিলা তার বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও অর্থ নিয়ে গেছে।
- তবে তিনি মহিলার সঠিক কোনো পরিচয় বা তথ্য জানাতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার দেওয়া তথ্যগুলো আপাতত কাজে আসছে না।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন বলেন, “আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উদ্ধার হলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ফারজানার এক সহকর্মী শিশুটির ছবি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “আজিমপুর মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার, লালবাগ টাওয়ারের পাশের গলি থেকে ডাকাতি করে একটি ফুটফুটে শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
জটিলতার মূল কারণ
- সাবলেট হিসেবে বাসায় ওঠা মহিলার পরিচয় অজানা।
- তার সঙ্গে মায়ের পরিচয় ছিল মাত্র এক সপ্তাহের।
- অপরাধীদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
আজিমপুরে শিশুকে অপহরণের এই ঘটনা শুধু ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য নয়, পুরো এলাকাবাসীর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এবং তদন্তের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সবার উচিত, অপরিচিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে যাচাই না করে তাদের বাসায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া এবং এ ধরনের ঘটনার প্রতিরোধে সচেতন থাকা।