লেবাননের উত্তর-পূর্বে ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি
লেবাননের উত্তর-পূর্ব বালবেক শহরের ডৌরিস এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একটি সিভিল ডিফেন্স সেন্টারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হতাহতের মধ্যে শহরের নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রধান বিলাল রাদ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আঞ্চলিক গভর্নর বাচির খোদর।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠান, যা উদ্ধারকাজ এবং অগ্নিনির্বাপণসহ জরুরি পরিষেবাগুলো পরিচালনা করে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হামলাকে “বর্বর” বলে বর্ণনা করেছে। সিভিল ডিফেন্স সেন্টারে আঘাত হানায় পুরো ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, এই ধরনের হামলা শুধু সম্পদের ক্ষতি নয়, বরং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের টার্গেট করে মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি করছে।
একই দিনে, দক্ষিণ নাবাতিহ অঞ্চলের আরব সেলিম শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরেকটি সিভিল ডিফেন্স সেন্টার ধ্বংস হয়ে গেছে। এনএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচজন প্যারামেডিক।
গত সেপ্টেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাত বৃদ্ধির পর লেবাননে ইসরায়েলের হামলা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
- স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু: লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জন জরুরি পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
- বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হামলা বৃদ্ধি: বৈরুতের দক্ষিণে ইসরায়েল টানা চারদিন ধরে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার পর স্থানান্তর আদেশ জারি করলেও এই ধরনের আক্রমণ লেবাননের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও এই মানবিক সংকটের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্স এবং জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ইসরায়েলি হামলা শুধু সামরিক সংঘাতের অংশ নয়, বরং মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে। এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং সাধারণ নাগরিকদের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, লেবাননের সঙ্কট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা পালন করা এবং এই ধরনের আক্রমণ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করা।