অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হওয়া জেলেদের মুক্তি ও ফেরত আসার প্রক্রিয়া
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করায় ২০ জন বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এদের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আলী আহমদের ছেলে শাহ আলমসহ ২০ জন জেলে, যারা নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিল, তাদের মঙ্গলবার বিকেলে আরাকান আর্মি আটক করে। জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ট্রলারঘাট এলাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশী জেলে ১৫টি হস্তচালিত এবং ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করেন। এই সময়, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের আটক করে।
বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং আরাকান আর্মির সাথে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে আটক জেলেদের মুক্ত করা সম্ভব হয়। টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, “এই ঘটনা উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি বুঝতে এবং একটি কার্যকর সমঝোতা স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
জেলেদের মুক্তি নিশ্চিত করার পর তাদের নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এরপর শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে এড়াতে সীমান্তে কড়া নজরদারি এবং জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।