মুম্বাই পুলিশের কাছে এসেছে নতুন হুমকি, ভাইজানকে বাঁচতে হলে দিতে হবে ৫ কোটি টাকা
বলিউডের জনপ্রিয় তারকা সালমান খান সম্প্রতি একটি গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাকে। ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে খুনের ঘটনার পর থেকেই সালমানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
গত ৩০ অক্টোবর মুম্বাই পুলিশের কাছে অজ্ঞাত নম্বর থেকে সালমান খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেসেজ আসে। এই শঙ্কা কাটিয়ে উঠার আগেই ৪ নভেম্বর রাতে আবারও তার নাম উল্লেখ করে হুমকি আসে। এইবার মুম্বাই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলের পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে সালমান খানের হত্যার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “বেঁচে থাকতে চাইলে পাঁচ কোটি দিতে হবে অথবা আমাদের (বিষ্ণোইদের) মন্দিরে এসে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।”
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম উঠে আসার পর থেকেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন গ্যাংয়ের টার্গেট হয়ে পড়েছেন সালমান খান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর বাবা সিদ্দিককে খুন করা হয়। ধর্মীয় উৎসব দশেরার দিন পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটানোর সময় তিনজন দুর্বৃত্ত সিদ্দিকের উপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর সালমান খান হাসপাতালে গিয়ে বাবার পরিবারের সাথে দেখা করেন, এবং শোনা যায় যে তিনি সেখানে ভেঙে পড়েছিলেন।
সালমান খানের উপর আসা এই সব হুমকি শুধু তাকে নয়, বরং তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। কিছুদিন আগে, সালমান এবং বাবা সিদ্দিকের ছেলে জিশান সিদ্দিককে হুমকি দেয়ার ঘটনায় নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এইসব ঘটনা প্রমাণ করছে যে, গ্যাংস্টারদের দিক থেকে সেলিব্রিটিদের উপর আক্রমণ এবং হুমকি বাড়ছে।
এদিকে, পুলিশ এই সকল ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা বলেছে। সালমান খানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে এবং গ্যাংস্টারদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সালমান খানকে টার্গেট করে এইসব হুমকি তার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনেও চাপ তৈরি করছে। বলিউডের ভাইজান হিসেবে পরিচিত এই তারকা বর্তমানে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন। নিরাপত্তার প্রতি এই উদ্বেগ এবং হামলার ঘটনা নতুন এক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে, যে কিভাবে সেলিব্রিটি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।