ঢাকা, ৪ নভেম্বর – রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাজারে আগাম পেঁয়াজের সরবরাহ কম, আর আমদানির ক্ষেত্রে ডলার বৃদ্ধির প্রভাবও দামের উর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ।
কারওয়ান বাজারে আজ সকাল থেকেই দেখা গেছে, পেঁয়াজের প্রতি কেজি দাম ১৫০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, সরকারি নজরদারির অভাবেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়ে চলেছেন। এক ক্রেতা বলেন, “ভেবেছিলাম কারওয়ান বাজারে দাম কম পাবো, কিন্তু এখানেও ১৫০ টাকা কেজি। দর নিয়ন্ত্রণ না করলে গরিব মানুষ অনেক কষ্টে পড়বে।”
ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, অতিবৃষ্টির কারণে আগাম পেঁয়াজ বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় দাম বেড়েছে। তাদের মতে, দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি হলেও বাজারে সরবরাহ কম। তবে তাদের আশা, নতুন পেঁয়াজ এলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ভারত থেকে পেঁয়াজের সরবরাহও কমে গেছে বলে জানান আমদানিকারকরা। নতুন পেঁয়াজ আসতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ফলে বাধ্য হয়ে পুরনো পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, “এলসির সময় ডলারের যে রেট থাকে, বিল ছাড়ের সময় তা বেড়ে যাওয়ায় বেশি দাম দিতে হয়। এ কারণেও বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে না।”
মেসারস রাব্বি ট্রেডারসের আমদানিকারক রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ বন্দরে আনতে ৫-৬ দিন লাগে, এ সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, আগাম আমদানির পরিকল্পনা থাকলে এই সংকট হতো না। তিনি বলেন, “দশ লাখ টন পেঁয়াজ আগাম আমদানি করা গেলে বর্তমান সরবরাহ সংকট এড়ানো যেতো।”
টিসিবির হিসেবে, এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ, আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে ক্রেতারা দাবি করছেন, সরকারি সংস্থাগুলো যেন দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।