সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে জড়িত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিদেশে পালানো ঠেকাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজন নেতাকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টাকালে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর থেকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশত্যাগ করতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিমানবন্দরে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট সৌদি আরবে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজকে আটকে দেওয়া হয়। এছাড়া ১০ আগস্ট ফেনীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিল মোহাম্মদকে আটক করা হয়। এদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ৯ আগস্ট রাত পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের প্রতি এ দাবি জানিয়েছি এবং তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে।”