সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবা স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। গত সোমবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করার পর থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এখনও পুরোপুরি কর্মস্থলে ফেরেননি। ফলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে সঠিকভাবে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
সাধারণত ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশ পুলিশের অধীনস্থ একটি কল সেন্টার থেকে পরিচালিত হয়। দেশের যেকোনো স্থান থেকে বিনামূল্যে এই সেবা গ্রহণ করা সম্ভব এবং এটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে, কল সেন্টারের বেশিরভাগ এজেন্ট ব্যস্ত থাকায় অনেকেই তাদের কলের উত্তর পাচ্ছেন না। গতকাল শনিবার ও আজ রোববার বেশ কয়েকবার ৯৯৯ নম্বরে কল করা হলে প্রতিবারই শোনা গেছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখিত, আমাদের সকল এজেন্ট এখন ব্যস্ত থাকায় আপনার কলটির উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন অথবা কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন।’
৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবা হেল্প ডেস্কের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ আজ বিকেলে জানিয়েছেন, “আমরা শুধুমাত্র জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নিতে পারছি, আর কিছু করতে পারছি না। আমাদের (পুলিশের) টহল নেই। আমরা সব সেবা দিতে পারছি না। এগুলো যদি চালু না হয়, কোনো সেবাই ঠিকঠাক দিতে পারব না।”
যারা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন, তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করতে হয়। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলের সঠিক তথ্য, সড়ক ও বাড়ি নম্বর জানাতে হয় এবং অপরাধীকে দেখে থাকলে তার চেহারার বর্ণনা দিতে হয়। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই সেবা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, যা জনগণের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।