চুয়াডাঙ্গা জেলার আলুকদিয়া ও পদ্মবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতির কারণে ইউএনও প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন, তবে অতিরিক্ত দায়িত্বে সময় দিতে না পারায় সেবাপ্রার্থীরা জন্ম-মৃত্যু, ওয়ারিশ সনদ এবং ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, নওগাঁর বক্তারপুর এবং চুয়াডাঙ্গার শংকরচন্দ্র ও মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নে দায়িত্বে আছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউল আলম সুজন বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদকে সিটি করপোরেশনের সাথে তুলনা করা ঠিক নয়। এখানকার জনগণ সরাসরি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সেবা পায়, যা তাদের প্রাত্যহিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।”
আওয়ামী লীগের পতনের পর সারা দেশে ১,৪১৬ চেয়ারম্যান অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে অনেকে পুনরায় যোগদান করলেও প্রায় সাড়ে তিনশো ইউপিতে প্রশাসক বা কমিটির মাধ্যমে সেবা পরিচালনা করতে হচ্ছে। প্রশাসক নিয়োগ সহজে সম্ভব না হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জনপ্রতিনিধিদের বহাল রাখার দিকে নজর দিচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। কারণ ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে গ্রাম পর্যায়ে সেবা প্রদান ব্যাহত হবে, যা সরকার চায় না। আপাতত প্রশাসক পরিচালিত হলেও সেবায় ছাড় দেয়া হবে না।”
সরকার নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনায় স্পষ্ট করেনি যে সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচন হবে কিনা। “জনগণের মতামত নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা হবে,” যোগ করেন এলজিআরডি উপদেষ্টা।
দেশের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত সদস্য মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬৯ হাজার জনপ্রতিনিধির উপস্থিতির মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেয়া সহজ হয়। তবে প্রশাসক দিয়ে পরিচালিত ইউপি এলাকায় নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তিতে যে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্ব আরোপ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।