ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বসিলা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর মেজর নাজিম এ তথ্য জানান।
মেজর নাজিম বলেন, “গ্রেফতারদের মধ্যে ছিনতাইয়ের অভিযোগে সরাসরি ৩ জন, দোকানে ডাকাতির দায়ে ২ জন এবং সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী হিসেবে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে যৌথ বাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা আগামীকাল থেকে হাউজিং এলাকাগুলোতে কার্যকর হবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারবে এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই কার্যক্রম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ১৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৬১ রাউন্ড গুলি, ১৯ প্রকারের মাদকদ্রব্য, একটি গ্রেনেড এবং প্রায় ৭৫-৮০ ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সামগ্রী মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেজর নাজিম আরও জানান, গ্রেফতারের সময় বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, আটককৃতদের মধ্যে ২-৩ জন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারে। এছাড়াও কিশোর গ্যাংয়ের কিছু সদস্যের হাতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু দেখা গেছে, যা বিভিন্ন গ্যাংয়ের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা লক্ষ্য করেন, ছিনতাইকারী দলগুলো সাধারণত সকালে রাস্তাঘাট যখন ফাঁকা থাকতো কিংবা বিকেলে অফিস শেষে মানুষের ভিড়ের সময় সক্রিয় হতো।
এই অভিযান চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশ্বাস দেন মেজর নাজিম।