ডায়াবেটিস কী?
ডায়াবেটিস হল শরীরের এমন একটি গুরুতর অবস্থা, যেখানে শরীর নিজে থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা অগ্ন্যাশয়ের বিশেষ কোষ দ্বারা তৈরি হয় এবং এটি শরীরের কোষে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।

ডায়াবেটিসের ধরণ:
ডায়াবেটিসের প্রধান দুটি ধরণ হলো টাইপ 1 এবং টাইপ 2। এছাড়াও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, নিওনাটাল ডায়াবেটিস এবং জেসটেসানাল ডায়াবেটিসও হতে পারে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ:
টাইপ 1 ডায়াবেটিসের লক্ষণ:
- তীব্র তৃষ্ণা
- অতিরিক্ত প্রস্রাবের প্রবণতা
- দ্রুত ওজন হ্রাস
- প্রচণ্ড ক্ষুধা
- দুর্বলতা বা ক্লান্তি
- ঝাপসা দৃষ্টি
- পেটে ব্যথা
- অপ্রীতিকর গন্ধের অনুভূতি
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের লক্ষণ:
- ধীরে ক্ষতস্থান নিরাময়
- তীব্র তৃষ্ণা
- অতিরিক্ত প্রস্রাবের প্রবণতা
- দ্রুত ওজন হ্রাস
- হাতে এবং পায়ে ঝিনঝিন
- মূত্রনালীতে সংক্রমণ
- মেজাজ পরিবর্তন
- মাথাব্যথা
ডায়াবেটিসের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
টাইপ 1 ডায়াবেটিসের চিকিৎসা:
টাইপ 1 ডায়াবেটিস ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্পের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ইনসুলিনের ডোজ নির্ধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এটি খাদ্যাভাস, ব্যায়াম, মানসিক চাপ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের চিকিৎসা:
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভাস, ব্যায়াম এবং ওজন কমানোর উপর জোর দেওয়া হয়। প্রয়োজন হলে ঔষধের মাধ্যমে ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য:
প্রঃ ডায়াবেটিসে কি কি খাবেন না?
- শর্করা সমৃদ্ধ খাবার এবং পানীয়
- কাঁচা লবণ
- ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার
- অতিরিক্ত চা বা কফি
- ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার
- ভাত, আলু, কলা এবং গাজর
প্রঃ ডায়াবেটিসে কোন কোন ফল খাওয়া উচিত?
আপেল, অ্যাভোকাডো, পেঁপে, বেরি জাতীয় ফল, কামরাঙা, নাশপাতি, কমলা ইত্যাদি ফল ডায়াবেটিসে খাওয়া যেতে পারে।
প্রঃ সুগার এবং ডায়াবেটিস-এর মধ্যে পার্থক্য কি?
ব্লাড সুগার বা গ্লুকোজ হল রক্তে অবস্থিত শর্করা যা শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যেখানে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে না।