ঢাকা, ২৩ অক্টোবর: রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার দিনব্যাপী আন্দোলনের পর বঙ্গভবনের সামনে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বুধবার সকাল থেকে সাধারণ ছাত্র ও জনতার উপস্থিতি তেমন না দেখা গেলেও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব এবং এপিবিএন সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ও তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়া বসানো হয়েছে।
সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও আন্দোলনকারীদের বড় ধরনের জমায়েত দেখা যায়নি। তবে, ছোটখাটভাবে আন্দোলনকারীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক নজরদারি এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে তাদের কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সুপ্রিম কোর্টের সূত্রে জানা যায়, আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠকটি চলে এবং সেখানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং পরবর্তী রাষ্ট্রপতির সম্ভাব্য নাম নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আইজিপি, র্যাব ডিজি এবং ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। এসব বৈঠকের ফলে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে নানা গুঞ্জন উঠেছে।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গভবনের সামনে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। দেশের সাধারণ জনগণ এই পরিস্থিতির দিকে কৌতূহলভরে তাকিয়ে আছে, পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।