ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হবে না। তিনি জানান, পোশাক পরিধানের বিষয়টি সম্পূর্ণ নাগরিকদের ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করবে এবং কাউকে কোনো কিছুতে বাধ্য করা হবে না।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এক টেলিভিশনে প্রচারিত ‘রাজনীতি সিজন-৩’ টকশোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির। তিনি উল্লেখ করেন, “রাষ্ট্র তার সবদিক থেকে সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে সহায়তা করবে, তবে কাউকে কোনো কিছুতে বাধ্য করবে না।”
ডা. শফিকুর রহমানকে আরও প্রশ্ন করা হয়, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অবস্থান কেমন হবে এবং বাংলাদেশ কি পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের মত হয়ে যাবে? উত্তরে তিনি বলেন, “জামায়াত সরকারে গেলে বাংলাদেশ পাকিস্তান হবে না, আফগানিস্তানও হবে না। বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, জামায়াত বিশ্বাস করে নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সমাজ গড়ে ওঠে। সমাজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে নারীকে বাদ দিয়ে কিছু সম্ভব নয়, তেমনিভাবে পুরুষকেও বাদ দেওয়া যায় না। পরিবার ও জাতি গঠনে সবার ন্যায্য অধিকার রয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে আল্লাহ প্রদত্ত মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার মাধ্যমে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেওয়া হবে।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, জামায়াত আমির বলেন, “আমরা যে আদর্শ লালন করি, তা পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের নয়। আমরা দেড় হাজার বছর আগে মদিনায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আদর্শ অনুসরণ করি। সেখানে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, আমরাও নারীদের তেমনভাবেই সম্মানজনক অবস্থানে রাখতে চাই।”
ডা. শফিকুর রহমানের এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, জামায়াত ইসলামী নারী স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের বিষয়ে স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সমর্থন প্রদান করতে চায়।