জাপানের হোক্কাইডোর ৩৬ বছর বয়সী রাউতা ওয়াতানাবে, যিনি নিজেকে ‘বিয়ের দেবতা’ হিসেবে দেখতে চান, তার পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা চলছে। তার জীবনযাত্রা ও লক্ষ্য একাধিক স্ত্রীর সঙ্গে জীবন কাটানো এবং ৫৪ সন্তানের বাবা হওয়ার। ইতোমধ্যে তিনি ১০ সন্তানের বাবা হয়েছেন এবং তার চার স্ত্রীর বয়স ২৪ বছর।
ওয়াতানাবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কোনো চাকরি করেন না, বরং স্ত্রীরা ও প্রেমিকাদের অর্থেই সংসার চালান। তার চার স্ত্রী এবং দুই প্রেমিকা মিলে পরিবারের মাসিক খরচ বহন করেন, যা প্রায় ৬ হাজার মার্কিন ডলার। তার স্ত্রীরা সাধারণ আইনের ভিত্তিতে ওয়াতানাবের সঙ্গে জীবন কাটানোর চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন এবং তারা একসঙ্গে না থেকেও তার পাশে থাকেন। ওয়াতানাবে নিজেই রান্না, ঘর গোছানো এবং সন্তানদের দেখাশোনার মতো কাজগুলো সম্পন্ন করেন।
ওয়াতানাবের লক্ষ্য হলো ৫৪ সন্তানের বাবা হওয়া এবং জাপানের সর্বাধিক সন্তানের পিতা হিসেবে একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করা। তার ইচ্ছা, শোগুন টোকুগাওয়া ইয়েনারির ৫৩ সন্তানের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়া। ১৮৪১ সালে মারা যাওয়া শোগুন ইয়েনারির ২৭ জন স্ত্রী ও ৫৩ জন সন্তান ছিল। ওয়াতানাবে এই রেকর্ডকে ভাঙতে চান এবং ‘বিয়ের দেবতা’ হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে চান।
ছয় বছর আগে প্রেমিকার বিচ্ছেদের পর বিষণ্নতায় ভুগেছিলেন ওয়াতানাবে। পরে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি দুই প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
তিনি বলেন, “আমি নারীদের ভালোবাসি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা একে অপরের প্রতি সম্মান দেখাতে পারি, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই।”
রাউতা ওয়াতানাবে গৃহস্বামীদের মধ্যে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন, কারণ তিনি ঘরের সব কাজ নিজেই করেন। তার পরিবারে দায়িত্ব ভাগাভাগির বিষয়টি সমাজে আলোচিত হচ্ছে।
ওয়াতানাবের লক্ষ্য ও জীবনদর্শন তাকে একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে এসেছে এবং তিনি এখন জাপানের আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তার জীবনযাত্রা ও সম্পর্কের বৈচিত্র্য নিয়ে আলোচনা চলছে এবং তিনি নিজের লক্ষ্য পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।