ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মুফতি আবদুল মালেককে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের নতুন খতিব নিযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তাকে এই পদে নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
মুফতি আবদুল মালেক ইসলামিক স্টাডিজ, হাদিস ও ফিকহের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং দেশ-বিদেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেছেন। তার ওস্তাদ হিসেবে ছিলেন বিশ্বখ্যাত মুফতি বিচারপতি তাকী ওসমানী। এছাড়া তিনি সৌদি আরবের ইমাম মোহাম্মদ ইবনে সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুদ্দীন অনুষদের অধ্যাপক শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর অধীনে দুই বছর ধরে হাদিস ও ইসলামি আইন বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করেন।
মুফতি আবদুল মালেক মক্কা, মদিনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত প্রকাশিত হয় মাসিক আল-কাউসার নামে একটি গবেষণা পত্রিকা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন পলাতক ছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে তিনি নামাজ পড়াতে এলে মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানায়, যার ফলে মসজিদের ভেতরে দুই গ্রুপের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তদন্ত শেষে ২২ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
মুফতি আবদুল মালেকের নিয়োগের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।