ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে তিনটি হত্যা মামলায় জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে তাকে শিক্ষার্থী রফিক হাসান হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মোহাম্মদপুর থানার আরও দুই হত্যা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোট তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শিক্ষার্থী রফিক হাসান হত্যাকাণ্ড, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করে দাবি করেন যে আতিকুল ইসলাম এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন যে আতিকুলের মেয়ে বুশরা আফরিনকে বিনা বিজ্ঞপ্তিতে হিট অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল এবং তাকে মাসিক আট লাখ টাকা বেতন দেয়া হতো, যা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।
শুনানিতে আতিকুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, আতিকুল ইসলাম এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত নন এবং রাজনৈতিক কারণে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তবে, আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, আতিকুল ইসলাম পালানোর চেষ্টা করেছেন এবং তাকে এখন কারাগারে পাঠানো জরুরি।
বিশেষ করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মৃত্যুর পর আতিকুলের আচরণ এবং গান গাওয়ার ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে সমালোচনা ও ক্ষোভ দেখা গেছে। অনেকেই আতিকুলের এই আচরণকে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন।
আতিকুল ইসলাম ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং মামলার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলাগুলির রায় এবং আতিকুল ইসলামের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।