ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০২৪: রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার পূজা মণ্ডপে হামলায় আহতদের দেখতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে গেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। একই সময় তিনি ১৭ নম্বর তাঁতিবাজার পূজা কমিটির মণ্ডপটি পরিদর্শনও করেন।
গত শুক্রবার রাতে তাঁতিবাজার পূজা মণ্ডপে ককটেল সদৃশ বস্তু ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। বস্তুটি বিস্ফোরিত না হলেও, দুর্বৃত্তদের ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন অন্তত চারজন। আহতদের মধ্যে ঝন্টু (৪৫), সাগর (৩৮), মো. খোকন (৩৫) এবং বৃত্ত (২৬) রয়েছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের মণ্ডপ পরিদর্শন
শুক্রবার রাতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় এই হামলার খবর পেয়ে তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁতিবাজারের পূজা মণ্ডপে ছুটে যান। সেখানে উপস্থিত দর্শনার্থী এবং পূজারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, “দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন এবং উৎসবের বাকি দিনগুলো নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে।”
হাসান আরিফ আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে, ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পূজারিরা যেন নির্ভয়ে উৎসব পালন করতে পারেন সে জন্য সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আহতদের খোঁজখবর
তাঁতিবাজার পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে এ. এফ. হাসান আরিফ মিটফোর্ড হাসপাতালে যান এবং আহতদের খোঁজ নেন। সেখানে তিনি আহতদের সঙ্গে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে আহতদের চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, পূজা চলাকালীন হঠাৎ করে তিন থেকে চারজন দুর্বৃত্ত মণ্ডপে ককটেল সদৃশ বস্তু নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দুর্বৃত্তদের ধরার চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায় এবং চারজন আহত হন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
এ ঘটনার পর থেকে রাজধানীর অন্যান্য পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে।