বিশ্ব ক্ষুধা সূচক (Global Hunger Index) ২০২৪ অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের তুলনায় অবনতি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ ছিল ৮১তম স্থানে, স্কোর ছিল ১৯। এ বছর ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪তম স্থানে, স্কোর বেড়ে হয়েছে ১৯.৪। যদিও ক্ষুধার স্তর মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে, তবে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের স্কোরের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২০১৬ সালে স্কোর ছিল ২৪.৭, যা এ বছর কমে এসেছে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষুধার মাত্রা উচ্চ থাকলেও দেশটি ক্ষুধা নিরসনে ভালোভাবে কাজ করছে। তবে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বাংলাদেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে, এবং ৫ বছরের নিচে ২৩.৬ শতাংশ শিশু বয়সের তুলনায় উচ্চতায় ছোট। ১১ শতাংশ শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজনও বাড়ছে না। এছাড়া, ২.৯ শতাংশ শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্রা গুরুতর, এবং এ অঞ্চলের প্রায় ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির শিকার। শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে, ৫৬তম স্থানে। নেপাল ৬৮তম, এরপর বাংলাদেশ ৮৪তম স্থানে রয়েছে। ভারতের অবস্থান ১০৫ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯ তম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ৬টি দেশে – বুরুন্ডি, শাদ, মাদাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং ইয়েমেনে ক্ষুধার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এছাড়া, ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে এবং ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা নিম্ন পর্যায়ে আছে।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অপুষ্টির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্ষুধার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি করলেও, অপুষ্টি ও শিশুমৃত্যু এখনো দেশের বড় সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে।
