ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আইনের লঙ্ঘন এবং ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সড়ক ও সেতু নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে দুর্নীতির পরিমাণ ১২,৭০৯ কোটি থেকে ২৫,৪১৭ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। এসময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির সুযোগ তৈরির জন্য প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত প্রাক্কলন করা হয়। এছাড়া, ২৫টি প্রকল্পে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
টিআইবি আরও জানায়, সড়ক প্রকল্পের প্রাথমিক বিবেচনায় যোগাযোগের সুবিধা, অর্থনৈতিক প্রভাব ও কার্যকারিতার বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনে অগ্রাধিকার পেয়েছেন ক্ষমতাধর মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া, নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ ও বিল পেতে সংশ্লিষ্টদের ১১ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে।
টিআইবি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংশ্লিষ্ট আইন মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।