মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। গুজবে দাবি করা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে পরিবর্তন করতে চান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস, এবং এই বিষয়টি জানার পর রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে। গুজবের সূত্রপাত ঘটে প্রবাসী আইনজীবী মুফাসসিল ইসলামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস এবং ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে।
মুফাসসিল তার পোস্টে বলেন, ‘আমি কখনও ভিত্তিহীন পোস্ট দেই না,’ যদিও তিনি কোনো নির্দিষ্ট সূত্র উল্লেখ করেননি। তার এই পোস্টের পর দ্রুতই সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
গুজবের প্রতিক্রিয়ায় হাস্যরস: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেন। তিনি লিখেন, ‘শুধু চেয়ারই না, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ ছাড়লেন বাকি উপদেষ্টারাও। সোর্স: চালাইদেন।’ তার এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে আরও আলোচনার জন্ম দেয়, যেখানে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
কাফি নামের একজন মন্তব্যে লেখেন, ‘ধরলাম ডক্টর ইউনুস পালিয়ে গেছে, কিন্তু তাদের মা হাসিনা কি ক্ষমতায় ফিরে এসেছে! মানুষের প্রতি ডক্টর ইউনুস এবং তার উপদেষ্টাদের বিশ্বাস নেই।’
অন্যদিকে, গোলাম মোস্তফা নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘ভাই, আপনারা গুজবে কান না দিয়ে নিজের কাজ করেন। আমাদের আপনার প্রতি অটল বিশ্বাস আছে।’
গুজব নিয়ে সাংবাদিকের প্রতিক্রিয়া
আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খানও এই গুজব নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি ব্যঙ্গ করে লেখেন, ‘ড. ইউনুস রাত ১১.১৫ এর মধ্যে ঘুমিয়ে গেছেন এবং সেনাপ্রধান ঘুমিয়েছেন রাত ১১.০০টার পরে। তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়নি। কিছু মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই গুজবকে কেন্দ্র করে অনলাইনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। তবে সরকারি কোনো সূত্র থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপসংহার
গুজব ছড়ানোর এই ঘটনাটি দেখায় যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে ছড়ানো ভুল তথ্য কীভাবে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এতে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সোর্সবিহীন খবরের প্রতি সবার সতর্ক থাকা উচিত।