ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ রাত হলেই চোর এবং মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিশেষ করে ইয়াবা গ্রহণকারী এবং চোরদের এই দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই এই অপরাধীদের গডফাদার হিসেবে কাজ করেছেন বলে এলাকাবাসী জানায়।
স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধ বাড়তে থাকে। উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত রাতের বেলায় ২৫টি ফ্যান চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসব চোরাই মালামাল স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে, পুরো এলাকায় একধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় জনগণ নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি। এলাকার মানুষ আশঙ্কা করছে, যদি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
উপজেলা পরিষদে চুরি এবং মাদক সেবনের মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা সবসময় উদ্বেগের মধ্যে থাকছেন। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে আরও জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার বিশিষ্টজনেরা।
সাধারণ জনগণ সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ ও আশেপাশের এলাকা থেকে মাদকসেবী ও চোরদের উচ্ছেদ এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা চান প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি বৃদ্ধি করা হোক। এছাড়া মাদকবিরোধী অভিযান এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা আশা করছেন যে, প্রশাসন দ্রুত সমস্যার সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।