ভারত সরকার সম্প্রতি বাংলাসহ আরও চারটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। নতুন করে এই তালিকায় যোগ হওয়া ভাষাগুলো হল—বাংলা, মরাঠি, পালি, অহমিয়া এবং প্রাকৃত। এই স্বীকৃতির ফলে বাংলা ভাষার গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্বীকৃতি নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার সরকার এই স্বীকৃতির জন্য লড়াই করে আসছিল। গবেষণাপত্র সহকারে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল, যা এবার পূরণ হয়েছে। মমতা এক্সে (টুইটার) পোস্টে লেখেন, “অবশেষে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল ভারত সরকার। আমরা ভাষার ঐতিহ্য ধরে রাখার নতুন দিগন্তে পৌঁছেছি।”
ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদার মানদণ্ড
ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ভাষার ইতিহাস যদি দেড় থেকে দুই হাজার বছরের পুরনো হয় এবং প্রাচীন সাহিত্য ও বর্তমান সাহিত্যের মধ্যে বিশিষ্ট পার্থক্য থাকে, তবেই সেই ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর সেই ভাষার গবেষণা, সাহিত্য চর্চা ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়।
সুবিধাগুলো যা পাবে বাংলা ভাষা
ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে বাংলার জন্য বিশেষ গবেষণা কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক বিভাগ স্থাপিত হবে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদাপ্রাপ্ত ভাষার প্রাচীন পাণ্ডুলিপি এবং শিলালিপিগুলোর সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর ফলে বাংলা ভাষার সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদরা বিশেষ পুরস্কার ও সম্মাননার আওতায় আসবেন।
বাংলা এবার তামিল, সংস্কৃত, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ও ওড়িয়ার পাশাপাশি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদাপ্রাপ্ত ভাষাগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা বাংলা ভাষার জন্য এক বিশাল সাফল্য।
এই স্বীকৃতি বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।