স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) রাজস্ব খাতের আওতায় বিভিন্ন পদে পূর্বের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ পেতে একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সরকারি চাকরিতে পূর্বের কোটা পদ্ধতির আওতায় ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটায় বরাদ্দ ছিল। তবে উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৩ জুলাই, ২০২৪ তারিখে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থা চালু করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলজিইডির বিভিন্ন পদে আগের কোটা ব্যবস্থায় নিয়োগ পেতে একটি মহল চাপ সৃষ্টি করছে এবং এলজিইডি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের প্রেক্ষাপট
২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর এলজিইডির রাজস্ব খাতের ১৩-২০তম গ্রেডের ১২টি ক্যাটাগরিতে মোট ২,২৩৭টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী কোটা পদ্ধতির ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৭ এপ্রিলের পরিপত্র অনুযায়ী, ১৩-২০তম গ্রেডের পদে কর্মচারী নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করে তা সরকারি কর্ম কমিশনে সংরক্ষিত রয়েছে। সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো প্রার্থী যোগদান না করলে বা পদ শূন্য হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রার্থী সুপারিশ করার নির্দেশনা রয়েছে।
নতুন কোটা পদ্ধতির প্রজ্ঞাপন
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে, বর্তমান নিয়োগ ব্যবস্থায় মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এলজিইডিতে পূর্বের কোটা ব্যবস্থায় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া এখন আইনসম্মত হবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় সুস্পষ্ট মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বের কোটা পদ্ধতি থেকে নিয়োগ দেওয়া বর্তমান আইন অনুযায়ী হতে পারে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।