ঢাকা, ৩ অক্টোবর: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং সন্ত্রাস দমন ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অনুসন্ধান কমিশনের সভাপতি ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যারা গুম হয়েছেন, তাদের অভিযোগগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বক্তব্য নিতে আমরা সমন দেব। অভিযুক্তরা না এলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, র্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি এবং সিটিটিসির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিশন ইতোমধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর এবং ১ অক্টোবর ডিবি ও সিটিটিসি কার্যালয় পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, “আমরা সেখানে কোনো বন্দী পাইনি। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশনটি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সিআইডি, এনএসআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের হাতে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত করবে।