ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় কৃষকরা আবারও হলুদের চাষাবাদে ঝুঁকছেন। ১৯৮০-এর দশকে ব্যাপকভাবে হলুদ চাষ হলেও, সেই সময় বাজারে হলুদের দাম কম থাকায় চাষ থেকে সরে আসেন অনেক কৃষক। তবে বর্তমান সময়ে দেশে হলুদের চাহিদা ও বাজারদর বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা আবারও হলুদ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ভবান্দপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল গাফ্ফার শাহ্ বলেন, “আগে হলুদের দাম কম থাকায় চাষ করতাম না। বাজার থেকেই কিনে ব্যবহার করতাম। তবে এখন বাজারে শুকনো হলুদের সুটির দাম ২৭০ টাকা এবং হলুদের গুঁড়ার দাম ৩০০ টাকা কেজি, যা আমাদের জন্য লাভজনক। এ বছর আমি ১৬ শতক জমিতে হলুদ চাষ করেছি এবং আশা করছি ভালো ফলন পাব।”
হরিপুর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুবেল হোসেন জানান, এই উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হচ্ছে, যার মধ্যে অনেক জমি ছিল অনাবাদি ও পতিত। তিনি আরও বলেন, “বেলে দোআঁশ মাটি এবং ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের চাষ ভালো হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৪.৮ টন হলুদ উৎপাদন সম্ভব। বর্তমান বাজারে হলুদের উচ্চ চাহিদা ও দাম বৃদ্ধির কারণে এ অঞ্চলে হলুদের চাষাবাদ দিন দিন বাড়ছে।”
দেশের বাজারে হলুদের বাড়তি চাহিদা ও দাম কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কৃষকরা আবারও হলুদের চাষে ফিরে আসছেন, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।