কানপুর: বৃষ্টি ও মাঠের সমস্যার কারণে আড়াই দিন নষ্ট হওয়ার পরও বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সিরিজের শেষ টেস্টে জয় পেতে হলে ভারতকে করতে হবে মাত্র ৯৫ রান, আর বাংলাদেশের সামনে ড্র করার জন্য টিকে থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আবারও উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার পুরনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দায়িত্বশীল ইনিংসের অভাবে দলের পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়েছে। বিশেষ করে সাকিব শূন্য রানে আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেন। আজ পঞ্চম দিনের সকালে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে মুমিনুল হক আউট হন। তার সঙ্গী সাদমান ইসলাম কিছুটা লড়াই করলেও অশ্বিন ও জাদেজার ঘূর্ণির সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। মুমিনুল ৮ বলে ২ রান করে ফিরলে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৩৬ রানে পড়ে যায়।
এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাদমান ইসলামের মধ্যে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ওঠে, কিন্তু শান্ত রিভার্স সুইপ খেলে আউট হন। তার বিদায়ের পর ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। সাদমান ফিফটি করলেও আকাশ দীপের বলে ধরা পড়ে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১০১ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের স্কোর ৯৪ রানে ৭ উইকেটে পরিণত হওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও, বুমরার বলে মুশফিক আউট হয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলে দেন। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ ভারতকে ৯৫ রানের টার্গেট দিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ভারতীয় স্পিনাররা বিশেষ করে জাদেজা এবং অশ্বিন তাদের অসাধারণ বোলিং দিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখেন। জাদেজা ৪ উইকেট নিয়ে দলের সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশের সিরিজ রক্ষার লড়াই এখন ভারতের ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করছে।
কী হতে চলেছে? ভারত কি সহজেই সিরিজ জয় করবে, নাকি গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলায় দেখা যাবে আরেকটি চমক?