মালয়েশিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট বাংলাদেশি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান ২০২৪ সালে স্ট্যানফোর্ড-এলসেভিয়ারের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় আবারও তার স্থান নিশ্চিত করেছেন। এনার্জি গবেষণা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য মালয়েশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
এই তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিজ্ঞান প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার। বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিশ্লেষণ করে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গুগল স্কলারের তথ্য অনুযায়ী, ড. সাইদুর রহমানের এইচ-ইনডেক্স ১৩৬ এবং তার গবেষণা কর্ম থেকে ৭৩ হাজারেরও বেশি উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার কৃতি সন্তান ড. সাইদুর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ক্লারিভেট আনালিটিক্সের জরিপ অনুযায়ী বিশ্বসেরা ১ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় স্থান পান। তার গবেষণা কর্ম মালয়েশিয়ার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও স্বীকৃতি পেয়েছে।
সম্প্রতি ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’-এর ২০২৪ সালের তালিকায় মালয়েশিয়ার শীর্ষ গবেষক হিসেবে তার নাম উঠে এসেছে। এছাড়াও, রিসার্চ ডটকম এবং স্কলার জিপিএস-এর বিশ্লেষণেও তিনি শীর্ষস্থানে রয়েছেন।
ড. সাইদুরের গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে সানওয়ে ইউনিভার্সিটি তাকে সম্মানিত করেছে। তিনি ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ করে সানওয়ে ইউনিভার্সিটিতে একটি অত্যাধুনিক গবেষণা ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা এনার্জি, তাপ ট্রান্সফার, সৌরশক্তি এবং ক্লিন ওয়াটার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ড. সাইদুর রহমানের এ সাফল্য শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য গর্বের বিষয়।