ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) জনপ্রিয় দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের শেয়ার জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী ও ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার গোলাম চৌধুরী এই মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে মাশরাফি ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার জোরপূর্বক হস্তান্তর করান এবং বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি। সারোয়ারের দাবি, তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সারোয়ার গোলাম চৌধুরী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, মাশরাফির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল মামলার দুই নম্বর আসামি হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমে। তাদের আমন্ত্রণে বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সারোয়ার। এরপর ২০২২ সালে ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করেন এবং ৬০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার ছিল ইমাম হাসানের, যিনি মাশরাফির বন্ধু হিসেবে পরিচিত।
২০২২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্বত্ব কেনেন তারা এবং ২০২৩ সালের বিপিএলে মাশরাফির নেতৃত্বে দলটি প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তবে আসর শেষ হওয়ার আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজির অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
সারোয়ারের অভিযোগ, ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে মাশরাফির কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক শেয়ার হস্তান্তর করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার অন্যদের নামে লিখিয়ে নেওয়া হয়, যার প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১০০ টাকা। সারোয়ার এর আগে তার ১৫ শতাংশ শেয়ার টাইটেল স্পন্সর ‘এক্স সিরামিক্স’ এর কাছে দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করেছিলেন।
সারোয়ার আরও দাবি করেন, তাকে ভয় দেখানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ জন যুবক এনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মাশরাফি এবং তার সহযোগী হেলাল বিন ইউসুফ তাকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখান এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখিয়ে তার পরিবারের ক্ষতির হুমকি দেন।
সারোয়ার গোলাম চৌধুরী প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান এবং সেখানে থেকেই মাশরাফির বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নিয়ে মাশরাফি কিংবা তার সহযোগীদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।