পেট ফোলা এবং গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। কারও এই সমস্যা বেশি, কারও কম। তবে অনেকের ধারণা, শুধুমাত্র খাবারের কারণে এই সমস্যাগুলি সৃষ্টি হয়। কিন্তু মার্কিন চিকিৎসক জোসেফ মার্কোলা ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি জানান, খাবার নয়, শরীরের শক্তির অভাব গ্যাসের সমস্যার প্রধান কারণ।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডা. মার্কোলা ব্যাখ্যা করেন, “যখন আমাদের কোষ যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করতে পারে না, তখন অন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।”
এটি শরীরে শক্তির অভাবের কারণে হয়। ফলে অন্ত্রে অক্সিজেনের মাত্রা ব্যাহত হয় এবং শরীর সঠিকভাবে আঁশ হজম করতে পারে না। এর ফলে গ্যাস ও পেট ফোলাভাবের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
গ্যাসের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
গ্যাসের সমস্যা কমাতে ডা. মার্কোলা পরামর্শ দেন, শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
মার্কিন পুষ্টিবিদ লিসা মস্কোভিজের মতে, অতিরিক্ত গ্যাস উৎপাদনের কারণ হতে পারে অন্ত্রে উপকারী ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা। এটি মূলত গ্যাস উৎপাদক খাবার খাওয়ার কারণে শুরু হয়, বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন।
গ্যাসের সমস্যা কমাতে উপকারী কিছু খাবার
১. পেঁপে: পেঁপেতে থাকা পাপাইন নামে এক প্রকার এঞ্জাইম প্রোটিন ভাঙতে সহায়তা করে এবং হজমের উন্নতি ঘটায়।
২. আদা: আদার মধ্যে থাকা ‘জিঞ্জারোলস’ এবং ‘শোগাওল্স’ প্রদাহরোধী ও বায়ুনাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। খাবারের পর এক কাপ আদা চা পান করা খুবই উপকারী।
৩. শসা: এই সবজিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার আর্দ্রতা, যা হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং গ্যাসের উৎপাদন কমায়।
৪. দই: দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং নিয়মিত দই খেলে গ্যাস ও পেটফোলাভাব কমে যায়।
৫. ভেষজ চা: পুদিনা, ক্যামোমাইল, লেমনগ্রাসের মতো ভেষজ চা গ্যাসের সমস্যা কমাতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এই সবগুলো খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।