ঢাকায় পুলিশ কমিশনারের ঘোষণা: নতুন উদ্যমে আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে কাজ করছে ডিএমপি
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পল্টনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব ক্রীড়া উৎসব-২০২৪’ ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বলেন, রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে। তিনি জানান, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “মাদক, সন্ত্রাস ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে জেনেভা ক্যাম্পে অভিযানের সময় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেশ কিছু অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। কমিশনারের মতে, ঢাকা শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের উদ্যোগগুলো ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার
কমিশনার মাইনুল হাসান আরও জানান, “রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী কারামুক্ত হয়েছে।” তিনি বলেন, তাদের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে এবং যদি তারা নতুন কোনো অপরাধে জড়ান, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরাধ দমনে সমন্বিত প্রচেষ্টা
ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট যে পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা ন্যূনতম সময়ে যাতে পুলিশ বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করেন, সেজন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। “আমরা আমাদের কর্মীদের প্রতি কঠোর নজর রাখছি। কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি উল্লেখ করেন।
ডিএমপি কমিশনারের উপর অঙ্গীকার
কমিশনার মাইনুল হাসান উল্লেখ করেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কঠোর পরিশ্রম করছেন। তিনি সকল পুলিশ সদস্যকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য আহ্বান জানান এবং যেসব সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করেননি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্যোগ
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ অপরাধ দমনে কাজ করছে এবং বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা
কমিশনার মাইনুল হাসান জনগণের সহযোগিতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “জনগণের সহযোগিতা ছাড়া আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।” জনগণকে পুলিশকে তথ্য প্রদান এবং অপরাধী শনাক্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতি
এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, “আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি দৃঢ় থাকব এবং ঢাকা শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করব।” তিনি প্রত্যাশা করেন যে জনগণ পুলিশের প্রতি তাদের আস্থাশীল থাকবে এবং পুলিশ তাদের নিরাপত্তার জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে।
নিরাপত্তা সমন্বয়ে অগ্রগতি
ঢাকা শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অভিযান ও জঙ্গিবাদ দমনের কাজে পুলিশ সাফল্য অর্জন করেছে।
সামনের চ্যালেঞ্জ
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমরা জানি, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
—