ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের একজন সদস্যকে আটক করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। এ ঘটনার পর ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর বরাত দিয়ে জানা যায়, এ ঘটনাকে সীমান্ত নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে বিএসএফ।
ভারতীয় বিএসএফের দাবি, মঙ্গলবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সীমান্তে তাদের এক সদস্য, উপল কুমার দাস, ১৫ থেকে ২০ জন ‘বাংলাদেশি দুর্বৃত্ত’ কর্তৃক অপহৃত হন। বিএসএফের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সময় ওই সদস্য নিরস্ত্র ছিলেন এবং ভারত ‘জিরো ফায়ারিং’ নীতি অনুসরণ করায় কোনো আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখেননি। পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন এবং বিকেল ৪টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর বিএসএফ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ পাঠানো হয়, যেখানে তারা এই আগ্রাসনের কড়া নিন্দা জানায়। বিএসএফ বাংলাদেশকে আহ্বান জানায় যেন বাংলাদেশি নাগরিকেরা এই ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডে না জড়ায় এবং বিজিবিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিজিবি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি।
বাংলাদেশের স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের ৪৩৪ নম্বর মূল পিলারের ৬ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে বিএসএফ সদস্য উপল কুমার দাস ভুলবশত বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। চান্দের হাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। যদিও তিনি ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন, তবে তার কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। পরে তাকে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয় এবং বিকেলে ফেরত দেওয়া হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।