ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন জাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হবে এবং কোনো ক্রেতাকে এ ধরনের ব্যাগ সরবরাহ করা যাবে না। এর পাশাপাশি কাঁচা বাজার ও পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মঙ্গলবার এক ঘোষণায় জানান, পরিবেশ রক্ষার জন্য পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রতিটি সুপারশপ ও শপিং সেন্টারের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রেতারা যাতে সহজেই পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন, সে লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে গণমাধ্যমে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে এবং পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
পলিথিন নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাঁচা বাজারগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এছাড়া, পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে কারখানাগুলোতেও কড়া নজরদারি থাকবে। এসব কারখানা যেন নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন না করতে পারে, সেজন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হবে বলে উপদেষ্টা জানান।
পলিথিন ব্যাগের কারণে পরিবেশ দূষণ এবং প্রাণীজগতের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর, সরকার এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পলিথিন নিষিদ্ধের এই উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ্বব্যাপী পলিথিন ব্যাগ পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যবহারের কারণে মাটি ও পানি দূষণের মাত্রা বেড়েছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে পলিথিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। এবার সরকার এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে, যা পরিবেশ সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।