শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চমক দেখিয়ে জয়লাভ করেছেন বামপন্থী নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। তার এই জয় একদিকে যেমন শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করেছে, তেমনই অন্যদিকে আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে দ্বীপরাষ্ট্রটির সম্পর্ক নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বামপন্থী দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি)-এর পলিটব্যুরো সদস্য হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার নেতৃত্বে এই দলটি ভারতবিরোধী অবস্থান এবং শ্রীলঙ্কার জনগণের অধিকার রক্ষায় জোরালো অবস্থান নিয়েছে। তার রাজনৈতিক উত্থান এবং সফলতা একদিকে যেমন শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ সংকটকে তুলে ধরেছে, তেমনই আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
অনূঢ়া কুমারার রাজনৈতিক উত্থান
অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্রাবস্থায়। ১৯৮০-এর দশকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে তিনি শ্রীলঙ্কার দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করতে শুরু করেন। তার রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আদর্শ নিয়ে তিনি সমাজের নানান স্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি)-এর ভূমিকা
শ্রীলঙ্কার বামপন্থী দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি), যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রোহানা উইজেভেরা, ১৯৮০-এর দশকে ‘ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ’ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে জনগণের আস্থা অর্জন করে। দিশানায়েকে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হয়ে ১৯৯৫ সালে এই দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শুরু করেন। তার সময়ে দলের কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিল দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সক্রিয় থাকা।
অতীতে, জেভিপি সশস্ত্র বিদ্রোহ গড়ে তুলে। তারা একতরফা ভারতীয় চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনগণের সমর্থন লাভ করে। এই চুক্তিতে শ্রীলঙ্কার সরকার ভারতীয় তামিলদের জন্য কিছু ক্ষমতা প্রদান করে। কিন্তু দিশানায়েকে এবং তার দল এই চুক্তির বিরোধিতা করে এবং এর ফলে তারা সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পড়তে বাধ্য হয়। তবে, সময়ের সাথে সাথে তারা সহিংসতার পথ ত্যাগ করে এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে।
রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও ভারতবিরোধী মনোভাব
দিশানায়েকের রাজনৈতিক চিন্তাধারা প্রাধান্য পায় বামপন্থী আদর্শ এবং তিনি সবসময় ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। তার দৃষ্টিতে, ভারতের কূটনীতি শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এই অবস্থান শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যে একটি বৃহত্তর জনমত গঠন করে, যা তাদের জন্য নতুন এক আশা নিয়ে আসে।
দিশানায়েকের নেতৃত্বে, জেভিপি ভারতের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করে। তার দাবি ছিল, তারা ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিতে পরিবর্তন আনতে চান। তবে, তিনি স্পষ্ট করেছিলেন যে, ভারতের সহায়তা ছাড়া শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
দিশানায়েকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়
অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের নির্বাচনে, তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা ও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনটি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন ধারার সূচনা করে।
নির্বাচনের প্রেক্ষাপট
গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কা কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে, যা জনগণের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা এবং প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে। ২০২২ সালে দেশে গণবিক্ষোভের ফলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে পড়ে, এবং জনগণ একটি পরিবর্তনের প্রত্যাশায় ছিলেন। এই পরিবর্তনের আশা নিয়ে দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন বামপন্থী জেভিপি জনগণের সমর্থন অর্জন করে।
নির্বাচন কমিশনের ফলাফল অনুযায়ী, দিশানায়েকে ৪২.৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা ৩২.৭৬ শতাংশ ভোট পান, এবং রনিল বিক্রমাসিংহে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট অর্জন করেন।
নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, দিশানায়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করেন। এই মুহূর্তটি ছিল শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে একটি মাইলফলক, কারণ তিনি দেশের প্রথম বামপন্থী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে, জনগণের প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
দলীয় সমর্থন ও রাজনৈতিক সংস্কার
দিশানায়েকের শপথগ্রহণের পর তিনি তার দলের উদ্দেশ্যে নতুন রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জনগণের জন্য একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর সরকার গঠনের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সংকল্পবদ্ধ ছিলেন। তার সরকার শ্রীলঙ্কার জনগণের স্বার্থ রক্ষায় বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায়, যা দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
দিশানায়েকের জয় আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বিশেষ করে ভারতের কূটনীতিবিদদের জন্য এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। ভারত শ্রীলঙ্কায় একটি শক্তিশালী প্রভাব বজায় রাখতে চায়, এবং দিশানায়েকের নেতৃত্বে কি ধরনের পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অন্যান্য প্রতিবেশী দেশও এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে, পাকিস্তান এবং চীনের সম্পর্কের ওপরও এটি প্রভাব ফেলতে পারে। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট যে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে পারেন, তা নিয়ে বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করছেন।
দিশানায়েকের পররাষ্ট্রনীতি এবং ভারত-চীন সম্পর্ক
দিশানায়েকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার নেতৃত্বে ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক
দীর্ঘদিন ধরে, ভারত শ্রীলঙ্কার একটি প্রধান মিত্র দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। তবে, দিশানায়েকের দল এবং তার রাজনৈতিক ইতিহাস ভারতবিরোধী মনোভাব নিয়ে পরিচিত। এমন পরিস্থিতিতে, তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
দিশানায়েকের নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে, তিনি ভারত থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা এবং বিনিয়োগ আশা করছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তার নয়াদিল্লি সফরের সময়, তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকগুলোতে তিনি বলেন, “আমার দলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিতে বড় ধরনের কোনো বদল আসবে না। তবে ভারতের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আশা করছি।”
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক
চীনের প্রতি দিশানায়েকের আগ্রহ উল্লেখযোগ্য। গত কয়েক বছর ধরে, শ্রীলঙ্কা চীনের সঙ্গে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রকল্প এবং বিনিয়োগে যুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে হাম্বানটোটা বন্দরের উন্নয়ন চীন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যা ভারতের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।
দিশানায়েকের সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করতে পারে, যা ভারতকে উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট চীনের সঙ্গে অধিকতর বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে পারেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা
শ্রীলঙ্কা বর্তমানে একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের ঋণখেলাপি অবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফের সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে। ভারতের সহায়তা ছাড়াই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হতে পারে।
এদিকে, দিশানায়েকের শাসনের শুরুতেই যদি ভারত বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে এটি ভারতের কাছে বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ ভারত ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সহায়তা এবং মানবিক সাহায্য প্রদান করছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
দিশানায়েকের জয় নিশ্চিত করেছে যে, শ্রীলঙ্কার জনগণ পরিবর্তন চান। তার সরকারের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ জনগণের প্রত্যাশা মেটাতে হবে। নতুন সরকারের পরিকল্পনা জনগণের প্রতি অঙ্গীকার রাখতে হবে।
নতুন প্রশাসন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংস্কার এবং উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে। দেশের দুর্নীতি, শাসনের অদক্ষতা এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য দিশানায়েকের সরকার জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবে।
শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রত্যাশা ও পরিবর্তনের প্রতীক
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নির্বাচনে জয় দেশের জনগণের মধ্যে একটি নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। জনগণ পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিল, এবং দিশানায়েকের নেতৃত্বে তারা সেই প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ দেখতে পাচ্ছে।
জনগণের প্রত্যাশা
শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যে একটি বড় প্রত্যাশা হল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। গত দুই বছরে যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট এবং সামাজিক অস্থিরতা দেখা গেছে, তা কাটিয়ে উঠতে একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন। জনগণ আশা করে যে, নতুন প্রশাসন দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জাতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনবে।
শ্রীলঙ্কার তরুণ প্রজন্ম বিশেষভাবে পরিবর্তন চায়। তারা শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। দিশানায়েকের নেতৃত্বে তারা নতুন রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য আশা করছে যা তাদের জীবনের মান উন্নত করবে।
শিক্ষা ও যুব উন্নয়ন
নতুন সরকার শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং যুব উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। দেশের তরুণ জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পেশাদার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই পরিবর্তনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছে এবং তারা সরকারের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার
শ্রীলঙ্কায় সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার রক্ষা করার জন্য দিশানায়েকের সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। বিশেষ করে, তামিল জনগণের অধিকার এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারকে সমাজের সমস্ত সম্প্রদায়ের সঙ্গে একটি সুষ্ঠু সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
বিগত সরকারগুলোর সময়কালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। নতুন সরকারের উচিত এই বিষয়ে একটি সত্যতা অনুসন্ধান কমিশন গঠন করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রভাব
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকেও গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ভারত এবং চীনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে, সরকারকে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিশানায়েকের সরকারকে বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে একটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ গ্রহণ করতে হবে। তারা যদি সফল হয়, তবে এটি শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন সম্ভাবনা খুলে দেবে।