রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে রাতুল (১২), একজন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৫ আগস্ট বগুড়া উপশহরের পথে বিদ্যালয়ের ছাত্র রাতুল পুলিশি গুলিতে আহত হয়েছিল।
রাতুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওইদিন সকালে নাশতা না করেই রাতুল তার বোন জেরিন সুলতানা এবং ভগ্নিপতি আমির হামজার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে যায়। মিছিলের সময় পুলিশ গুলি চালালে রাতুল গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির পর তাকে প্রথমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
রাতুলের মা জানান, তাকে আন্দোলনে যাওয়ার আগে নাস্তা খেতে বলেছিলেন, কিন্তু রাতুল উত্তর দিয়েছিল, “দেখি স্বৈরাচার হাসিনার শেষ পরিণতি কি হয়। শুধু দোয়া করো যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারি।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং রাতুলের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।