গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি উম্মে হানি সেতুও এর শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি তার একটি ভয়েস রেকর্ড সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভয়েস রেকর্ডে সেতু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, “দল করেছি কিন্তু কখনও ভালো জায়গায় রাখেনি। নেতারা সবসময় বাঁকা করে তাকিয়েছেন। আমি যথেষ্ট সুন্দরী ছিলাম, সেটাই হয়তো কারণ। তারা আমাদের বোন হিসেবে সম্মান না দিয়ে বরং ভোগের পণ্য মনে করতেন। যে মেয়েরা তাদের কাছে নিজেদের সঁপে দিত, তারাই ভালো পদ পেত।”
সেতুর বক্তব্যে উঠে আসে তার নামে তিনটি মামলা হওয়ার কথা। তিনি জানান, “আমার মতো আরও কিছু নেত্রী মামলা খেয়েছে, কিন্তু অনেক সিনিয়র নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। আমার ১৬ মাসের একটি ছোট বাচ্চা আছে, তাকে ফেলে আমি ঢাকায় পড়ে আছি। কেউ আমার বাসার খবর নেয় না, বাচ্চারা কী খায়, সেটা দেখারও কেউ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতাদের অশ্লীল কর্মকাণ্ডের কারণেই আজ দলটির পতন ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নায়িকাদের নিয়ে ফূর্তি করতেন। তাদের এসব কাজের জন্যই আল্লাহ গজব নাজিল করেছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কিছু গ্রুপে সেতু এই বক্তব্য দেন বলে জানা যায়। তবে সেই রেকর্ড ফাঁস হয়ে যাওয়ায় দলটির নেতারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তবে উম্মে হানি সেতু এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি কোনো বক্তব্য দিইনি, প্রমাণ করতে পারলে দেখান। আমি দৌঁড়ের ওপর আছি, এখন আমাকে নিয়ে নাচছে।”
আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।