বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ইলিশের দাম কমেছে বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও বাজারে গিয়ে ক্রেতারা বিপরীত অভিজ্ঞতা করছেন। ইলিশের উচ্চমূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা।
বাজারে ইলিশের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে কৌতূহল ও হতাশা চোখে পড়ছে। ঢাকার হাতিরপুল বাজারে মাছ কিনতে আসা চাকরিজীবী নার্গিস বেগম জানান, ‘রপ্তানি বন্ধ কিন্তু দাম তো কমেনি। মাঝখান থেকে আমরা বাজারে এসে নাজেহাল হচ্ছি।’ অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ‘ফেসবুক-ইউটিউবে দাম কমার খবর দেখে আসেন, কিন্তু বাজারে এসে বেশি দামের জন্য আমাদের দোষারোপ করেন।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্তে দেশের মানুষের জন্য মাছ সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্য ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি দামি মাছ, আমাদের দেশের মানুষই খেতে পারে না। কারণ অধিকাংশ ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়।’ তবে রপ্তানি বন্ধ হলেও ইলিশের বাজার দর এখনো কমেনি, যার অন্যতম কারণ যোগানের ঘাটতি।
জেলেদের জালে ধরা ইলিশ কয়েক হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে পৌঁছায়। চাঁদপুরের আড়তগুলোতে ৩ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার টাকায়। ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইলিশের দাম বাড়ছে। প্রায় এক কেজি ওজনের মাছের কেজি দামে উৎসে ১১০০ টাকা পর্যন্ত উঠছে। রাজধানীর বাজারে এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার জানান, কিছুদিন ধরে ইলিশের বাজার এই উচ্চমূল্যেই স্থির রয়েছে।