ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আশা প্রকাশ করেছে যে সেনাবাহিনী তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী অপরাধী, লুটেরা, এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনবে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। পোস্টটিতে বলা হয়, যেহেতু সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই এখন সেনাবাহিনীর কাছেই অভিযোগ জানানোই একমাত্র উপায়।
সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদানের সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সারা দেশে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। আগামী দুই মাস ধরে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসাররা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী জানান, “আমরা এই আদেশ পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করব,” এবং তিনি সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর একাধিক ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনী তাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। এর মধ্যে ৬৪ এবং ৬৫ ধারা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৯ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং কারফিউ জারি করে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়।