বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক রোববার দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে মন্তব্য করেছেন যে, শেখ হাসিনার বর্বরতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ছাড়িয়ে গেছে। সমাবেশটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায়, আহতদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন প্রার্থনায় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এ গণসমাবেশে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার পতন বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছে, এবং বাংলাদেশ নতুনভাবে মুক্তি পেয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঘটে যাওয়া গণহত্যার নজির ইসরাইলের ফিলিস্তিনে চালানো বর্বরতার সমতুল্য। তিনি বলেন, “যখন ইসরাইল ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছেন।” মামুনুল হক আরও বলেন, “শেখ হাসিনার পতন বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার উদযাপন হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
তিনি ছাত্রদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই, যারা এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
মামুনুল হক তার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশ অর্জন করতে তিনটি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। ব্রিটিশ বেনিয়া, পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে এই লড়াই ছিল। আল্লাহ ছাড়া কেউ আমাদের প্রভু হতে পারে না, এবং যারা আমাদের দাস ভাবতে চায় তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”
শেখ হাসিনার রাজনীতিকে ‘প্রতিশোধের রাজনীতি’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা তার বাবার হত্যাকারীদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত বাকশালের সময়কালে যে গণহত্যা হয়েছিল তা ভুলে গেছেন।”
মামুনুল হক আরও বলেন, “শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা, এবং তিনি শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গিয়েছিলেন।”