সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জেলার বন্যা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তবে বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর ৯০ শতাংশ মানুষের জন্য পানি সরবরাহ করে আসছে, তবে বাকি ১০ শতাংশকেও দ্রুত পানি সরবরাহের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, “শুধু পানি সরবরাহই যথেষ্ট নয়, সরবরাহকৃত পানির বিশুদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে।”
সমবায় সমিতিগুলোর কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে অন্তর্কোন্দল ও মামলা-বিতর্কের কারণে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই দ্বিধাবিভক্তি ও দ্বন্দ্বের কারণে সমিতিগুলো তাদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছে।
ঘাট ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিএর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য তিনি জাতীয়ভাবে একটি নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এবং প্রয়োজনে এই বিষয়ে একটি আইন প্রণয়নেরও আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।