বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না, তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রীও হতে চেয়েছিলেন। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা দুর্নীতি করে দেশকে দুর্বল করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে চুষে খেয়েছেন এবং ১৬টা লাগেজে করে সবকিছু নিয়ে বোনের সাথে হেলিকপ্টারে নরেন্দ্র মোদির ঘরে গিয়ে উঠেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের ওপর প্রতিশোধ নেয়নি, আওয়ামী লীগের ওপরও নিয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলেছিলেন পঁচাত্তরে আপনারা কোথায় ছিলেন।” মামুনুল হক শেখ হাসিনাকে একজন প্রতিশোধপরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এমন একজন প্রতিশোধপরায়ণ সাইকোপ্যাথকে দেশের শাসনব্যবস্থায় বছরের পর বছর ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছে।”
তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধান সেই চেতনাকে হাইজ্যাক করেছে এবং পরবর্তীতে বাকশালীরা ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করেছে।”
মামুনুল হক আরও অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছরে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম ও হত্যা করেছে। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার জন্য অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও হত্যা করেছেন।”
সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দও সরকারের সমালোচনায় অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাকর্মীরা এবং হাজারো মানুষ।