মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক নতুন দিন নির্ধারণ করেন। মামলার নথি অনুযায়ী, গত ১৩ আগস্ট এস এম আমীর হামজা নামের এক ব্যক্তি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এই মামলা করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ এবং যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
ঘটনার পটভূমি
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল-সমাবেশ করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়, যেখানে বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানি আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত সায়েদের মরদেহ পঞ্চগড়ের বোদা থানার নতুন বস্তি প্রধান হাটে দাফন করা হয়। তার পরিবার ঢাকায় না থাকায় মামলাটি করতে অক্ষম ছিল। বিবেকের তাড়নায় ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাদী এস এম আমীর হামজা এই মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করতে বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে পুলিশ শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের অধীনস্ত পুলিশদের মিছিলে গুলি চালাতে নির্দেশ দেন, যার ফলশ্রুতিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং এর যথাযথ বিচার হওয়া প্রয়োজন।